এবিএনএ: সব বাবা-মাই তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। বিশেষ করে আজকের পৃথিবীতে সামনে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জ সন্তানরা কিভাবে মোকাবেলা করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। যদি আপনার সন্তানকে বাস্তবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বড় করতে চান তাহলে শিশু অবস্থাতেই তার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
এ ব্যাপারে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. অনেক সময় শিশুরা বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। বাবা-মায়ের উচিত ওই সময়ে শিশুদের সাহস জোগানো। তাদেরকে বোঝানো, তারা কাজটা করতে পারবে। এ ধরনের আচরণ শিশুর মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলবে।
২. অনেকসময় শিশুরা খেলতে কিংবা পড়ে গিয়ে হাত-পায়ে ব্যথা পায়। অনেক বাবা-মাই তাদেরকে শক্তিশালী করতে গিয়ে কিছু হয়নি বলে সান্ত্বনা দেন। কিন্তু এটা করা ঠিক নয়। কারণ শিশুটি হয়তো সত্যিই অনেক ব্যথা পেয়েছে। শিশুর আবেগকে গুরত্ব সহকারে দেখা উচিত। যদি কোনো কারণে শিশু ব্যথা পেয়ে থাকে তাহলে তার কাছে গিয়ে সে কেমন অনুভব করছে সেটা জানতে চাওয়া উচিত।
৪. শিশুরা অভিযানপ্রিয়। তারা অনেকসময় এমন কিছু করতে পছন্দ করে যেটা করতে গিয়ে তারা আঘাত পেতে পারে। বাবা-মায়েরা শিশুরা ব্যথা পেলে কখনও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখান। এটা ঠিক নয়। বরং যেটাতে উঠতে গেলে কিংবা যে কাজ করতে গেলে সে আহত হতে পারে সেটা নিয়ে বারবার তাকে সতর্ক করুন। এতে শিশুটিও বুঝতে পারবে বিষয়টা তার জন্য নিরাপদ নয়। তারপরও যদি কাজটা সে করতে চায় তাহলে তাকে নিষেধ করবেন না। বরং এমন স্থানে থাকুন যাতে সে পড়ে গেলে তাকে ধরতে পারেন। ঝুঁকি নেওয়া থেকে তাদের সরিয়ে রাখবেন না।
৫. অনেকসময় বিভিন্ন জিনিস নিয়ে শিশুরা সমস্যায় ভোগে। বাবা-মায়েরা তখন সেটা সমাধান করে দেন। কিন্তু এটা সবক্ষেত্রে ঠিক নয়। বরং তার যেটাতে সমস্যা হচ্ছে সেটা করতে এমনভাবে সহযোগিতা করুন যাতে কাজটি করা তার জন্য সহজ হয়। পুরো কাজটা বারবার আপনি করে দিলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে না, বারবার আপনার ওপরই নির্ভর করবে।
৬. শিশুরা যদি কোনো কাজ সহজে না পারে তাহলে কি আপনি বিরক্ত হয়ে ছেড়ে দেন? এটা করা ঠিক নয়। শিশুরা কিন্তু দেখেই শেখে। সে যদি কোনো ব্যাপারে আপনাকে সহজে হাল ছাড়তে দেখে তাহলে সেও তাই শিখবে। : সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া